মন্ত্রণালয়-ডিসিসি রশি টানাটানি: বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

মন্ত্রণালয়-ডিসিসি রশি টানাটানি: বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

রাজধানীতে চলতি বছর সর্বত্রই মশার উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, মশক নিধনকর্মীরা আদৌ কোনো দায়িত্ব পালন করছে কিনা এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে। যদিও গত জুলাই মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় মশা মারার কার্যক্রম শুরু করেন ঢাকা দাক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তবে অন্য অঞ্চলে এর উপস্থিতি খুবই নগণ্য। কার্যক্রম শুরুর সময় সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের এ কর্মসূচি চলাকালে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসায় বাসায় গিয়ে আমাদের কর্মীরা মশকের লার্ভা ধ্বংস করেছে।

জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে কিছুটা মশক নিধন করা হলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা মারার কার্যক্রম ছিল না বলেই চলে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মারা যাওয়ার পর প্যানেল মেয়রও মারা যান। নির্বাচন হচ্ছে না আইনি জটিলতায়। তাই বলা যায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এখন অভিভাবক শূন্য। আরও একটি কারণ হচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন একত্রে মশা মারছে না। তাই এক সিটিতে যখন মশা নিধন শুরু হয় তখন কিছু মশা উড়ে অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় চলে যায় এ কারণে সিটি করপোরেশনের মশা পুরোপুরি নিধন করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাছাড়া ঢাকার একটি বড় এলাকা হচ্ছে সিটি করপোরেশনে বাইরে। সেখানে মশা উৎপাদন হলে তা সিটি করপোরেশন মারছে না। তা মারার দায়িত্ব সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগের। কিন্তু তারা তাদরে সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। সে বিভাগগুলো বলছে ঢাকার মশা মারবে সিটি করপোরেশন। যে কারণে সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রশি টানাটানির কারণে মশা পুরোপুরি নিধন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের মশক নিধনের জন্য বাজেটও কম থাকে।

চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে মশকনিধন ওষুধ কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা, ফগার, হুইল, স্প্রেমেশিন পরিবহনে ২ কোটি, কচুরিপানা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment